Posts

Showing posts from April, 2021

পয়লা বৈশাখ

Image
  এই বছরের পহেলা বৈশাখ বৃহস্পতিবার পড়েছিল। এবছর বাড়িতে দিদা ছিল। ঘুম থেকে উঠে মাকে আর দিদাকে প্রণাম করলাম। বাবা তখন বাইরে জমিতে ধোঁয়া দিতে গেছে। খুব আনন্দে কাটলো দিনটা। আমি বাথরুম করে ফ্রেশ হয়ে ব্রাশ করে আমিও বেশ কয়েকটা জমিতে ধোয়া দিলাম ।তারপর হঠাৎ কি মনে হলো  সাইকেলের পেছনের ক্যারিয়ারে দু আঁটি খড় নিয়ে সাইকেল চালিয়ে চললাম ঠাকুরনগরের জমির দিকে।   সেখানে ধোঁয়া দেওয়ার শেষে হঠাৎ মন স্থির করলাম হেড়িয়ার জমির দিকে যাব। যেই ভাবা সেই কাজ সাইকেল চালিয়ে সেই দিকে চললাম। কখনো সেখানে আমি ধোঁয়া দিতে যাইনি। আজকে প্রথমবার যাচ্ছি সকালে এই দিনটা ভালোই কুয়াশা কুয়াশা মত ছিল। একচুয়ালি কুয়াশা না ধোঁয়া ঠিক বুঝলাম না।  হেড়িয়ার জমিতে পৌঁছে ধোঁয়া দিলাম। অনেক ছবি, সেলফি  তুললাম অনেকটা সময় কাটালাম।  বৃহস্পতিবার তাই মাংস করা গেল না। বড় মাছ হলো আমি গিয়ে আবার বড় কাতলা মাছ নিয়ে আসলাম। সবাই মিলে একসাথে মজা করে খেলাম। মিষ্টি দই আনা হলো।   এই রবিবারে চুল কেটেছি। বলে রাখলাম, পরে আবার ভুলে যাই।  গোটা চৈত্র মাস বাড়িতে মাংস রান্না হয়নি এই রবিবার মাকে আর ছাড়লাম না, মাংস রান্না করালাম। মা মাংস রান্না

সোমবার 26.4

Image
  দেবুদা তো আগে থেকেই বলেছিল যে আজকে তার বাড়িতে বিয়ে বাড়ি আছে সেখান থেকে সে আমাকে খাবার এনে দেবে।  সেই অনুযায়ী আমিও শনিবার রুম থেকে কেটলি আর বাটি কৌটো সবকিছু নিয়ে গিয়ে অফিসে রেখেছিলাম।  দেবুদা খাবার নিয়ে এলো দুটোর দিকে।  বলল একটু বেশি করেই নিয়ে এসেছি। তুমি অল্প কিছু রেখে দেবে রাত্রের জন্য। রাত্রেও খেয়ে নেবে আর বৌদিকে মিলের কথা বলার দরকার নেই। ঠিক আছে, আমি রুমে নিয়ে এসে কেটলি খুলে পুরোপুরি হাঁ।  বড় একটা জামবাটি ভর্তি দেশী মাংস, চারটে বড় বড় পোনামাছের টুকরো, চারটে গলদা চিংড়ি ভাপা, শাকের তরকারি, আলু ভাজা, অনেকগুলো পাপড় ভাজা টা পলিথিনে করে দিয়েছে, ছপিস মত মিষ্টি আর দুটো আইসক্রিমের বাটি।  ডাল আর পায়েসটা ইচ্ছে করেই দেয় নি কেননা আমি আর খেতে পারব না ভেবে ভাবনা চিন্তা করেই দেয়নি এবং ঠিকই করেছে। কেননা যা জিনিস দিয়েছিল, একলা মানুষের পক্ষে সামলানো সম্ভব নয়। পুরো দু-তিনজনের খাবার।  আজকেই আবার জুনপুট এর অফিসে যে রামবাবু কাজ করে তার বাড়িতে ঠাকুরভোগের নিমন্ত্রণ ছিল। আমি না বলে দিয়েছি। যদিও দুলাল দা ফোন করেছিল কিন্তু এখানে বিয়েবাড়ির আয়োজন ফেলে তো আর ঠাকুরভোগ খেতে যাওয়ার মানে হয

বৃহ

Image
  আজকের সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। গতকাল অফিস থেকে RICT ডিভাইসটা আর অনেকগুলো বইপত্র নিয়ে গিয়েছিলাম যদি আজকে নেটওয়ার্ক আসে তাহলে সকালে কাজটা করব ভেবে।  রুমে বসে অনেকক্ষণ ট্রাই করলাম লোকশিক্ষার তিন তলার ছাদে উঠে অনেকক্ষণ ট্রাই করলাম অ্যান্টেনা খুলেও দেখলাম। কিন্তু কোনোভাবেই কোনো কিছু হলো না। শেষপর্যন্ত হতাশ হয়ে ব্যাগপত্র, ডিভাইস নিয়ে আবার অফিসে গেলাম ।যেতে যেতে মাঝপথে আবার একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে মেশিন অন করলাম।  বৃথা চেষ্টা কিছু করার নেই।  চারজনের ওয়ারেন্ট পাস হয়ে পড়েছিল মাস্টারমশাই cashও দিয়ে দিয়েছে কিন্তু মেসিনে এন্ট্রি না হলে আমি দেবো কিভাবে। শেষ পর্যন্ত একজনের প্রচন্ড পীড়াপীড়িতে, রাগারাগি তে নিজের রিস্কে দিতে বাধ্য হলাম।  দেবু দা আজকেও খাবার এনেছিল। আগে থেকেই বলে দিয়েছিল যে আজকে মাছ হবে এবং একটু দেরি করে রান্না হবে। দেবুদার দেরি হবে বলে আমি আবার সামনের দোকানে গিয়ে ডবল ডিমের একটা আমলেট খেয়ে নিলাম কেননা খিদা খিদা লাগছিল যদিও একটু আগেই 10 টাকা দিয়ে দুজন দুটো কেক খেয়েছি। তো দুটোর দিকে দেবুদা খাবার নিয়ে আসলো আমি রুমে নিয়ে চলে এলাম খাওয়া দাওয়া হল।  আজ রাত্রি

21.4.21 বুধবার

Image
 আজকে রামনবমী ছিল। আজকে খুব ভোর ভোর ঘুম ভেঙে গেছে। প্রায় সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঘুম থেকে উঠে হোস্টেলের পিছনে যে ঢালাই রাস্তাটা আছে সেখানে কিছুক্ষণ হাঁটলাম। তারপরে বাথরুমের পরে ব্রাশ করতে করতে নিমের পাতা চেবালাম। হাল্কা এক্সারসাইজ করলাম। তারপর কাঁচা চিঁড়ে জলে ভিজিয়ে খেয়ে স্নান করে অফিস গেলাম।  আজকে অনেক আশায় ছিলাম যে বোধহয় নেটওয়ার্ক আসবে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম ও হরি, গ্রুপে সবাই মেসেজ করছে কারুরই নেটওয়ার্ক নেই দু-একজন ছাড়া। গোকুল দা ডিম টোস্ট খাওয়ালো। আমি খেতে যাচ্ছিলাম সেই সময় গৌরাঙ্গ এসে উপস্থিত, তাকেও আবার আধখানা দিলাম। আজকে spm cash দেবে বলে বলেছিল তাই একদম দশটা দশটায় গৌরাঙ্গর বাইকে করে জুনপুটে উপস্থিত হয়ে গেলাম তখনও স্যার অফিসে আসেনি। আবার কিছুক্ষণ ওয়েট করলাম স্যারের কাছ থেকে cash নিয়ে আবার বাইকে করেই অফিস চলে এলাম।  গতকাল সন্ধ্যেবেলা চুনীদা যে চারটে বিএলআরও চিঠির কথা বলেছিল সেগুলো আজকে অফিসে ফেরার সময় দিয়ে এলাম। চুনীদার বাড়িতে একবার ঢুকে ছিলাম ওই চিঠিগুলোর অ্যাড্রেস জানার জন্য। চুনীদা আবার আমাকে বসতে দিয়ে কথাবার্তা বলল, ভালো আছেন কিনা জিজ্ঞেস করল, মিষ্টিও খাওয়াল। দুটো

20.4.21 মঙ্গলবার

Image
 বেশ কয়েকদিন ধরেই অফিসে লিংক নেই । সকালে উঠেই ভাবছিলাম যে লিংক আছে কি নেই ।হোয়াটসঅ্যাপ তারপরে টেলিগ্রামে গুলো চেক করি তো। দেখলাম গ্রুপেও সবাই লিখছে কারোরই অফিসে কোন লিংক নেই ।তো অফিসে গেলাম দেখলাম আমারও একই অবস্থা লিংক নেই।  বসে না থেকে অফিসে অনেকগুলো আধার কার্ড পড়েছিল তাদের সবাইকে মোবাইলে যে নাম্বারগুলো ছিল সবাইকে মেসেজ পাঠালাম। অফিস থেকে এসে নিয়ে যেতে বললাম। তারপর দেবান্তক দা এল, কি করব কি করব ভেবে চিন্তে বসে আছি। দুজনের জন্য দুটো ডিম টোস্ট কিনে নিয়ে আসলাম।  আসলে গিয়েছিলাম কিন্তু ছেঁড়া পরোটা আনতে যে দোকানটা ছিল সে বলল আজকে তাদের কি একটা মিটিং আছে এই জন্য আজকে তারা ছেঁড়া পরোটা তরকারি করছে না। আবার ডিম টোস্ট বানায় তার কাছে গেলাম সে বলছে আমার শরীরটা একটু অসুস্থ আজকে দোকান খুলিনি। ফিরে আসছি,বলছে ঠিক আছে আমি করে দিচ্ছি। দুটো ডিম টোস্ট আনলাম। তারপর এই খেলাম ছোলা নিয়ে গিয়েছিলাম কাঁচা ছোলা আমার রুমে ভেজানো ছোলা খেলাম পেট ভর্তি করে। অফিসের কাজকর্ম একেবারে নেই লোকজন এল। আজ আর বেকার ippb কাজ করি নি।  অফিসের একদম কোনায় যে লোহার লকারটা ছিল বহুদিন তাতে কারোর হাত পড়েনি।  আজকে আমি আর দে